টবে ও জমিতে ফলের চাষ (হার্ডকভার)
টবে ও জমিতে ফলের চাষ (হার্ডকভার)
৳ ১৫০   ৳ ১২৮
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

"টবে ও জমিতে ফলের চাষ" বইয়ের কিছু কথা ফল একটি স্বাস্থ্যরক্ষাকারী খাদ্য, কারণ ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবন, শর্করাজাতীয় পদার্থ ও ভিটামিন। খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াও অর্থকরী ফসল হিসেবেও ফল উল্লেখযোগ্য। নিত্যন্ত স্বল্পব্যয়ে ফল চাষ থেকে আয় হতে পারে। ফল চাষের মধ্যে কয়েকটিকে কেন্দ্র করে ছোট বড় নানা ধরনের কুটির শিল্প গড়ে উঠতে পারে। এই ধরনের ছোট শিল্পগুলি বিশেষ বিস্তার লাভ করেনি। এক কথায় এগুলো আমাদের দেশে প্রায় নেই বললেই চলে। ফল চাষের উপর ভিত্তি করে আর একটি অনুকল্প শিল্প গড়ে উঠতে পারে যা হচ্ছে ফল সংরক্ষণ শিল্প। ফলের মরশুমে প্রতি বছর কত ফল পঁচে নষ্ট হয় বা কমদামে বিক্রি করতে হয়। এর ফলে ফল চাষীদের চাষের প্রতি একটা অনীহা আসে। অথচ জ্যাম, জেলি, স্কোয়াস, জুস প্রভৃতি তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখলে এই ধরনের অপচয় বন্ধ করা যায়। আবার ফলের দামটা একটা ভারসাম্য থাকে। অবশ্য আবার এই সব সংরক্ষণ শিল্প কেন্দ্রে আবার সারা বছরই যেন ফলের যোগান থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে তা না হলে আবার এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। যেমন: গ্রীষ্মকালে আম, জাম, আনারস, পেঁপে প্রভৃতি ফল থেকে শুরু করে বর্ষাকালে আনারস, লেবু এবং শীতকালে কমলালেবু, পেয়ারা, আঙুর, আপেল প্রভৃতি ফলের যোগান দিতে হবে। ফল চাষের উপকারিতা বলতে গেলে আরও দুই একটি নতুন দিক উল্লেখ করতে হয়। যেমন: আমাদের দেশে গোচারণের জমির বড় অভাব। আম, নারকেল বা লিচু বাগানে ঘাসের সাথে কলাই, খেসারি, বরবটি, মটর ইত্যাদির চাষ করা যেতে পারে। ঘাস লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। উলু বা কাশ জাতীয় গভীর শিকড়যুক্ত ঘাস যাতে বাগানে ঢুকে পড়তে না পারে। বছর বছর সার ও পানি দিলে এই ঘাস ও ফল শস্যের যেমন উপকার হবে তেমনি। ফলগাছেরও উপকার হবে। এছাড়া আম, লিচু, নারকেল, কঁঠাল প্রভৃতি বাগানে প্রথম ৮-১০ বছর যথেষ্ট জমি খালি পড়ে থাকে। এসব জমিতে নানা রকমের ফসল চাষ করে আয় বাড়ানো যায়। পানি ও সারের সুবিধা থাকলে আলু, কপি, বেগুন চাষ করা যায়। এভাবে ফল বাগানে বিভিন্ন শস্যের চাষে উৎসাহ দিলে চাষীর আয় অনেক বাড়ে। আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরাঞ্চলেও ঘরবাড়ির ঘনত্বও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সে কারনে অনেকেরই বাড়িতে ফুল, ফল ও সবজির বাগান করার মতো বাড়তি জায়গা পাওয়া যায় না। ইদানিংকালে শহরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে ও বারান্দায় ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছেন। মাটির তৈরি টব বা সিমেন্টের বড় টবে ফলের চাষ বেশি হয়। ঢাকা শহরে সহ অনেক বড় বড় শহরের বাড়ির ছাদে বড় বড় মাটির টবেও কিছু কিছু ফল গাছ লাগাতে দেখা যায়। আশা রাখি আমার এ বইখানি টবে ও জমিতে ফল চাষ করার জন্য বিশেষ উপাকারে আসবে বলে আমি মনে করি।

Title : টবে ও জমিতে ফলের চাষ
Author : ড. মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী
Publisher : প্রান্ত প্রকাশন
ISBN : 9789848369197
Edition : 1st Published, 2010
Number of Pages : 124
Country : Bangladesh
Language : Bengali

ড. মোঃ আখতার হােসেন চৌধুরী ১৯৬২ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন সুবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক কৃষি (সম্মান) ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণীতে পঞ্চম, ১৯৮৫সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি রসায়ন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান, ২০০০ সালে জাপানের হিরোসিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি এবং ২০০৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন | ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েল কৃষি রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তার চাকুরী জীবন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে একই বিভাগে সহকারী প্রফেসর এবং ২০০৩ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করেন । বাংলাদেশের ফুল, ফল, সবজি ও মাছ চাষের গুণগত মান উন্নোয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এম.এস পর্যায়ে তিনি প্রায় ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর এবং ২ জন পি.এইচ.ডি ছাত্রের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]